সৈয়দ শামসুল হক তাঁর পাশে থাকা লোকটিকে দেখিয়ে বললেন, ‘একে চেনো?’
বলি, ‘না। ওনার নাম কি?’
হক বললেন, ‘সেলিম আল দীন। পড়েছ?’
বললাম, ‘হ্যাঁ, আপনাকেও তো চিনি। আমাদের ঝিনেদা থিয়েটার তো এখন “বাসন”-এর রিহার্সাল চলছে। আপনারা যাচ্ছেন কোথায়?’
হক সাহেব বললেন, ‘কুষ্টিয়ায়। আগামীকাল গ্রাম থিয়েটারের জাতীয় সম্মেলন হবে ওখানে।’
সেলিম আল দীন বললেন, ‘ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার? সেকেন্ড ইয়ার শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর চলে আয়?’
‘ওখানে কী করব?’
সেলিম আল দীন বললেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বি। তোকে ভর্তি করে নেব।’
সৈয়দ শামসুল হক ও সেলিম আল দীন বাসে উঠে পড়লেন, কুষ্টিয়ার দিকে যাত্রা করল গাড়ি। আমরা দুজন বাইসাইকেলে চড়ে আবার কলেজের দিকে গেলাম। যেতে যেতে আমি ভাবছিলাম, সত্যিই একটু আগে আমার সঙ্গে সেলিম আল দীন আর সৈয়দ শামসুল হকের দেখা হইছে? আলাপ হইছে? এ কথা একদিন হক সাহেবকে বলামাত্রই তিনি বললেন, ‘এটা কি কোথাও লিখেছ?’
বললাম, ‘না।’
হক বললেন, ‘লেখো লেখো। লিখলেই থেকে যায়।’
প্রিয় হক, লিখে দিলাম আমাদের প্রথম সামনাসামনি দেখা হওয়ার স্মৃতিভাষ্য। আপনি আর পড়বেন না এটা। একটা কথা কি জানেন, সব সময় খুব মিস করি আপনাকে।
অন্য আলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]