ভিনগ্রহীদের বিমান কি আদৌ উড়ন্ত চাকতির মতো দেখতে ? জানুন আসল সত্যিটা| Flying Saucers and Aliens: How a Journalists Error Gave UFOs Their Unexplained Shape | technology
ভিনগ্রহীদের বিমান কি আদৌ উড়ন্ত চাকতি বা ফ্লাইং সসারের মতো দেখতে ?জানুন আসল সত্যিটা
#কলকাতা: পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এবং সেই ভিনগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মরিয়া… এ’রকম ধারনা কল্পবিজ্ঞানমূলক নানা সাহিত্য এবং ছায়াছবির মাধ্যমে আমাদের মাথার মধ্যে গেঁথে বসেছে! কিন্তু যতই কল্প হোক, কিছুটা তো বিজ্ঞানও বটে! তাই বিশ্ব জুড়ে এই ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণাতে ব্যস্ত অনেক বিজ্ঞানী।
কিন্তু ভিনগ্রহীদের বিমান যে একটা চাকতির মতো দেখতে, সেটা একটু হেলে কোনাকুনি ভাবে পাড়ি দেয় আকাশ থেকে মহাশূন্যে, যার জন্য তার নামই হয়ে গিয়েছে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকতি, তা কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা জানান নি। জানিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। আর ব্যাপারটা ছিল নিছক তাঁর বোঝার ভুল।
খবর বলছে, এ হেন উড়ন্ত চাকতির দেখা না কি প্রথম পেয়েছিলেন কেনেথ আর্নল্ড। ইডাহো শহরের বাসিন্দা এই ব্যবসায়ী ছিলেন এক শখের বিমানচালকও। ১৯৪৭ সালের ২৪ জুন তিনি তাঁর বিমানে করে চষে বেড়াচ্ছিলেন আমেরিকার মাউন্ট রেনিয়ার অঞ্চল। এমন সময়েই পথে হল দেখা! আকাশপথেই দেখলেন আর্নল্ড- এক অদ্ভুত তীক্ষ্ণ আলো কিছু একটা থেকে ছিটকে এসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। ভাল করে এ’দিক, ও’দিক তাকানোর পর টের পেলেন, আলোটা আসছে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে থাকা এক ঝাঁক বিমান থেকে। এমনটা এর আগে কেউ দেখেনি তো বটেই, আওয়াজটাও প্রথম শুনলেন আর্নল্ড-ই!
ওরিগানোর পেন্ডলটনের এক এয়ার শো-তে পৌঁছেই এই অদেখা বিমান নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন আর্নল্ড। কথা ছড়িয়ে পড়ল মুখে মুখে। ২৫ জুন এক বৈঠকে সাংবাদিকদের জেরার মুখে পড়তে হল ভদ্রলোককে। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই ওই বিমানের ওড়ার ভঙ্গি নিয়ে বলেছিলেন আর্নল্ড- অনেকটা যেন জলের উপরে ছেড়ে দেওয়া চাকতি!
এই কথাটাই বুঝতে ভুল হয়েছিল ইউনাইটেড প্রেসের সাংবাদিক বিল বিকোয়েটের। দফতরে এসে সরাসরি তিনি লিখে দিলেন আর্নল্ডের উড়ন্ত চাকতি দেখার কথা!
মজার ব্যাপার, ভুল কিছু লিখলে সম্পাদকরা সাংবাদিককে নিয়ে ধরপাকড় করেই থাকেন! কিন্তু এর দিন কয়েক পরেই যখন ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের এক কর্মীও জানালেন যে তিনি আকাশে এমন খাননয়েক উড়ন্ত চাকতি দেখেছেন, তখন লোকের মুখে মুখে ফ্লাইং সসার নামটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল!