বিতর্ক প্রভাব ফেলে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মার্কিন নাগরিকেরা টেলিভিশন ইভেন্ট হিসেবে হলেও বিতর্ক দেখতে চান, সেটা অনস্বীকার্য। প্রভাব বিস্তার না করতে পারার অতীতের ধারাবাহিকতা এবারও থাকবে নাকি ভিন্ন রকম কিছু দেখা যাবে, সেটা আমরা পরে জানতে পারব। তবে যদি এই বিতর্কে অতীতের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকে, তবে তা জো বাইডেনের জন্য সুসংবাদই হবে। কেননা এখন পর্যন্ত জাতীয় জনমত জরিপে তিনি এগিয়ে এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোর অধিকাংশেই তিনি হয় এগিয়ে আছেন, নতুবা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে।
এটাও সহজেই অনুমেয় যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক করা জো বাইডেনের সহজ হবে না। কারণ, ট্রাম্প বিতর্কে প্রশ্নে যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে থাকতে অনাগ্রহী, তদুপরি তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণে মোটেই পিছপা হন না। ২০১৬ সালে দলের প্রাইমারির এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বিতর্কে দেখা গেছে যে তিনি তাঁর প্রতিপক্ষের বক্তব্যের মাঝখানেই এক বাক্যের আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে থাকেন। রাজনীতি বিশ্লেষকেরা কমবেশি একমত যে বিতর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যথেষ্ট পরিমাণে ভুল তথ্য ও মিথ্যাচার করবেন।
বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তিনি কী কৌশল নেবেন। তিনি কি ট্রাম্পের এসব মিথ্যাচার, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং তাঁর বক্তব্যে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো মোকাবিলা করবেন নাকি এসবের বাইরে থেকে তিনি তাঁর বক্তব্য তুলে ধরবেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির কৌশলবিদদের কেউ কেউ মনে করেন, এগুলো মোকাবিলা না করলে বাইডেনকে দুর্বল বলে মনে হবে। আবার অন্যরা মনে করেন, বাইডেনের উচিত হবে স্থিরতা দেখানো, দেশের অবস্থা বোঝানো এবং ভোটারদেরই এ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা যে এই সংকটকালে তাঁর মতো স্থির নেতৃত্বই দরকার।
আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর