5G নেটওয়ার্ক না কি শরীর এবং পরিবেশের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সত্যিই কি তাই ?
2G, 3G-র দিন শেষ। প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে গিয়েছে 4G-র নেট। খুব শিগগির না কি আরও দ্রুত গতির 5G নেট আসতে চলেছে বাজারে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে 5G নেটওয়ার্ক না কি শরীর এবং পরিবেশের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সত্যিই কি তাই? দেখে নেওয়া যাক বিজ্ঞানীরা কী বলছেন!
5G নেটওয়র্ক কী?
ওয়্যারলেস তথ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুত গতির নেটওয়ার্ক এটি। ৪ জি-র তুলনায় উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির নেটওয়ার্ক এটি। অর্থাৎ এটি খুব বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে না, ঘরবাড়ি থাকলে গতি বার বার বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ফোনের সঙ্গে লিঙ্ক করার জন্য আরও বেশি অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়। এটাই চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। ৫ জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রচুর ছোট ছোট অ্যান্টেনা দরকার হয়। রেডিও ওয়েভের চেয়েও বেশি এর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসতে হতে পারে আমাদের।
মানব দেহের ওপর রেডিও তরঙ্গের কী প্রভাব?
রেডিও তরঙ্গ কিন্তু শুধু ফোন থেকেই বেরোয় না। টিভি, রেডিও, ওয়াইফাই- সব থেকেই রেডিও তরঙ্গ বেরোয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মানবদেহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কোনও প্রমাণ মেলেনি। যদিও দীর্ঘক্ষণ ফোন মাথার কাছে ধরে রাখলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
5G প্রযুক্তির রেডিওফ্রিকোয়েন্সি মানবদেহের তাপমাত্রা খুব সামান্য বৃদ্ধি করে। তবে অ্যানসেস বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ার মার্কেলের মতে এই প্রযুক্তি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং স্ট্রেস বাড়ায়।
5G নেটওয়র্ক এই মুহূর্তে যে ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে, ভবিষ্যতে তার চেয়ে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করবে। ফ্রিকোয়েন্সি বাড়লে দেহের রেডিও তরঙ্গ শোষণ করার ক্ষমতা কমবে। চোখ এবং ত্বকের রেডিও তরঙ্গ শোষণ অনেক নিয়ন্ত্রিত হবে।
২০১২ সালে অ্যানসেস বিমানবন্দরের বডি স্ক্যানার পরীক্ষা করে দেখে, মানবদেহের ওপর এই প্রযুক্তির তেমন নেতিবাচক প্রভাব নেই। তবে 5G নেটওয়ার্ক চালু হলে কিছু রেডিও তরঙ্গের সংস্পর্শে আসতে হবে সবাইকেই। যাঁরা ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন এবং যাঁরা করবেন না, উভয়কেই।