ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, একটি গাছের গোড়া টাইলস দিয়ে বাঁধানো। কিন্তু সেখানে গাছ নেই। গুঁড়ি পড়ে আছে। বাঁধানো গোড়া থেকে তখনো গাছ কাটার বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি সরানো হয়নি।
ঘড়িয়ালের পুকুরের দক্ষিণ পাশে গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছের গুঁড়ি করাত দিয়ে কেটে ছোট করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। দক্ষিণ দিকে কৃত্রিম পাহাড়ি ঝরনার পাশে অনেকগুলো মেহগনি গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গোড়া এখনো মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়নি। একটি বড় গাছের গোড়া খুঁড়ে রাখা হয়েছে। একটি গাছ কেটে শুধু বের করে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ফেলে রাখা হয়েছে।
কর্মচারীরা বললেন, এখানে এত মেহগনি গাছের দরকার নেই। পরিকল্পিতভাবে বিরল প্রজাতির সব গাছ এ জায়গায় লাগানো হবে। এ বিষয়ে তাঁরা সিটি করপোরেশনের উদ্যানতত্ত্ববিদ শেখ হেলেনার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে শেখ হেলেনা বললেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’ করবেন। এখানে পরিকল্পিতভাবে বিরল, বিপন্ন, বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ গাছ লাগানো হবে; যেগুলো সংরক্ষণ করা দরকার। চিড়িয়াখানার ভেতরে বিভিন্ন রাস্তা এবং স্থাপনা ও বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে মিলিয়ে এমনভাবে গাছগুলো রোপণ করা হবে; যাতে ২০ বছর বা ৫০ বছর পরও গাছের কারণে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি বলেন, আমগাছ, জামগাছ, নিমগাছ, মেহগনিগাছ—এসব অতিচেনা। এগুলো দেখতে কেউ টিকিট কেটে ঢুকবেন না। এমন গাছ লাগানো হবে, যেগুলো মানুষ সচরাচর দেখতে পান না। মেয়র দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে কাজটি করছেন।