এই সময়ে ঘরে একটি পালস অক্সিমিটার রাখা ভালো। বয়স্ক ব্যক্তির সুবিধা–অসুবিধার দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে। বাড়িতে হাসপাতাল বা ডাক্তারের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর আগে থেকে নোট বইয়ে টুকে রাখাতে পারেন। গ্লুকোমিটার থাকবে। মা–বাবা বা দাদা-দাদির বয়স হলে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখতে হবে নিয়মিত। আর থাকবে ডিজিটাল প্রেশার মাপার যন্ত্র। থার্মোমিটার, ওজন মাপার মেশিন ইত্যাদি রাখতে হবে জরুরি প্রয়োজনে।
তবে শুধু যে মানুষটির অসুখ হলেই যত্ন নিতে হবে, তা কিন্তু নয়। তাঁর প্রতিদিনকার যত্ন দরকার। নিজে সব কাজ করতে না পারলে, বাড়ির বাকিরা তাঁকে সাহায্য করতে হবে আন্তরিকতার সঙ্গে।
বয়স্কদের বিষণ্ণতা, অবসাদ বেশি। তাই ঘরের ছোটরা সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নানা দুশ্চিন্তা হয়, কী হবে, কী করব, কে দেখভাল করবে। ডাকলে অ্যাম্বুলেন্স আসবে কি না। বাড়ির দায়িত্ববান সদস্যদের উচিত এসব ভাবনা থেকে তাঁকে দূরে রাখা। তিনি যে একা নন, আপনারা যে তাঁর পাশে আছেন সব সময়, সেই অনুভূতিটা তাঁকে বোঝান। তিনি যেন নিজেকে একা না ভাবেন।
জ্বর, মাথা ধরা, শ্বাসকষ্ট হয়, শরীর খারাপ লাগলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এখন তো ফোনে আছে টেলিমেডিসিন সুবিধা। কয়েক সপ্তাহের ওষুধপত্র একবারে কিনে রাখা ভালো।
শরীর ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, তাঁর ঘুম ভালো হচ্ছে কি না। নতুন চিন্তা যেন না বাড়ে। ঘরে এসব নিয়ে কম আলোচনা হলে ভালো। পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে আহার করলে ভালো। পরিবারের বটবৃক্ষ হচ্ছেন বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটি। তা কেবল টের পাওয়া যায় তিনি না থাকলেই। ফলে বটের ছায়া পেতে হলে, বটবৃক্ষকে যত্নে রাখা জরুরি। তাঁকে বোঝা মনে করা যাবে না।