ওই বৈঠকের আগে ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর যৌথভাবে উদ্যাপনের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
তিস্তাসহ পানিবণ্টনের বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তিস্তা বিষয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে অনেক আগেই ঐকমত্য হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই আমরা এটা বাস্তবায়নের জন্য জোর দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত হবে।’ তিনি জানান, দ্রুত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে দুই দেশ একমত হয়েছে।
সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে কেউ যাতে না মারা যায়। যেসব অঞ্চলে মারা যায়, সেখানে যৌথভাবে মনিটরিং করব। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, ভারতের জন্যও লজ্জার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক, সেটি একজন মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন পেঁয়াজ একটি ছোট জিনিস। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা হয়, তখন এই সম্পর্কে আঘাত হানে। আমরা ভারত থেকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনি। যেমন পেঁয়াজ এবং সেটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারের ওপর পড়ে।’