কর্তাদের গাড়ি ঘেরাও, ক্ষোভে উত্তাল সাদা-কালো- বিনিয়োগকারী ইস্যুতে মহামেডান কর্তারা দুভাগ | Sponsorship dispute among club officials of MDSP and fans are in fury | sports
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পথে হেঁটে ক্লাবে বিনিয়োগকারী আনার পথে উদ্যোগী হয়েছিলেন সচিব ওয়াসিম আক্রম, ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস।
#কলকাতা : হাতে লেখা পোস্টার, ফ্যান ক্লাবের ব্যানার। শয়ে শয়ে হাজির ক্লাব সমর্থকরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তাল সাদা-কালো ক্লাব তাঁবু।
ক্লাবে বিনিয়োগকারী আনার ইস্যুতে আড়াআড়ি বিভেদের পাঁচিল উঠেছে উঠেছে ক্লাব কর্তাদের মধ্যে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাগে ফুঁসতে থাকেন মহামেডান সর্মথকরা। বিনিয়োগকারী ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্লাবে এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ক্লাব তাঁবুর ভেতরে কর্মকর্তারা যখন বিনিয়োগকারীদের শর্তের ময়না-তদন্তে ব্যস্ত, ক্লাবের বাইরে আগুনে মেজাজ নিয়ে জড়ো হতে থাকেন সর্মথকরা। বৈঠক শেষে বেরোনোর মুখে দু’চারজন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় সদস্য সমর্থকদের।
প্রসঙ্গত ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পথে হেঁটে ক্লাবে বিনিয়োগকারী আনার পথে উদ্যোগী হয়েছিলেন সচিব ওয়াসিম আক্রম, ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস। সাদা-কালোয় বিনিয়োগকারী যখন প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই ইংল্যান্ড বেসড স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থার দেওয়া শর্ত নিয়ে আপত্তির কথা জানান ক্লাব কর্তাদের একাংশ। আর তাতেই তৈরী হয় নতুন জট।
শুক্রবার বৈঠকে ঠিক হয় শনিবার আরও একবার বৈঠকে বসবেন সাদা-কালো কর্মকর্তারা। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, লিগাল অ্যাডভাইজারের উপস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া খসড়া চুক্তি পরীক্ষা করবেন কর্তারা। ভিডিও কনফারেন্সে থাকার সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদেরও।
শুক্রবার সন্ধ্যার ফর বিনিয়োগকারী ইস্যুতে আশার আলো দেখছেন সচিব ওয়াসিম আক্রাম। বলেন, ‘’জট কেটেছে অনেকটাই। শনিবার ফের বৈঠক হবে। চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, আইনজীবীরা হাজির থাকবেন। ভিডিও কলে থাকবেন ইনভেস্টারের প্রতিনিধিরা। ৫০–৫০ শতাংশ শেয়ারে চুক্তি হবে। আশা করছি রবিবার কিংবা সোমবার ইনভেস্টারের নাম ঘোষণা করব।’’
ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্তিয়াক (রাজু) আহমেদ বলেন,‘’ইনভেস্টারের বিরোধী আমরা নই। কিন্তু কখনই ক্লাবকে বেচে দিয়ে ইনভেস্টার চাইনা। তাই, লিগ্যাল সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তবেই চুক্তি করা উচিত। এক্সিট ক্লজ সম্পর্কেও আইনজীবীদের পরামর্শ নিতে হবে।’’
অন্যদিকে, মহমেডান ফুটবলার তীর্থঙ্কর সরকার করোনা আক্রান্ত। আই লিগের ২য় ডিভিশনে তীর্থর খেলা অনিশ্চিত। শুক্রবার থেকেই দ্বিতীয় ডিভিশনের দলগুলো বায়ো-বাবলে ঢুকে পড়ছে। মহমেডানের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হবে। কারণ ফেডারেশন নির্ধারিত করোনা পরীক্ষা করেনি তারা। এ দিন যুবভারতী লাগোয়া হোটেলে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়লেন ভবানীপুর কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী।